নিজস্ব প্রতিবেদক: উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত গভীর নিম্নচাপের প্রভাবে আজ রাজশাহী, ঢাকা, খুলনা, চট্টগ্রাম, বরিশাল, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের কোথাও কোথাও ৪৮ থেকে ৮৮ মিলিমিটার ভারি বর্ষণ হতে পারে। একই সঙ্গে ৮৯ মিলিমিটারের বেশিও বৃষ্টি বা অতি ভারি বর্ষণ হতে পারে। নিম্নচাপের প্রভাবে আজ দেশের প্রায় সব জেলায় বৃষ্টি হবে। গতকাল সর্বোচ্চ বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে পটুয়াখালীর খেপুপাড়ায় ২৭৯ মিলিমিটার। এ ছাড়া পটুয়াখালীতে ১৯৪ মিলিমিটার, হাতিয়ায় ১৫৭ মিলিমিটার ও কক্সবাজারে ১৩৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়া অফিসের তথ্য বলছে, সাধারণত বাতাসের গতিবেগ যখন ৬০ থেকে ৮৯ কিলোমিটার হয়, তখন ঘূর্ণিঝড় বলা হয়। চলতি মাসে একটি ঘূর্ণিঝড়ের আভাসের কথা আগেই জানিয়েছিল আবহাওয়া অফিস। গত বুধবার সাগরে লঘুচাপ তৈরি হয়। সেটি ধীরে ধীরে সুস্পষ্ট লঘুচাপ, সেখান থেকে নিম্নচাপ, এরপর গভীর নিম্নচাপে রূপ নেয়। এর প্রভাবে গত দুই দিন দেশজুড়ে বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল ঢাকায় ২৭ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল সকাল থেকে দিনজুড়েই আকাশ ছিল মেঘলা। কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, আবার কখনো মাঝারি বর্ষণ হয়েছে। এরই মধ্যে সাগরে দুটি গভীর নিম্নচাপ তৈরি হয়েছে।
আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে। একই সঙ্গে তাদের গভীর সাগরে বিচরণ না করতেও বলা হয়েছে।